বৃহস্পতিবার, ৩১ Jul ২০২৫, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই শুধু স্বৈরাচার-মুক্তির মাস নয়, এটি আমাদের পুনর্জন্মের মাস কুড়িগ্রামে ৬২ বছরের রোকেয়ার সঙ্গে ১৯ বছরের মিথুনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, অতঃপর মৃত্যু যানজটে নাকাল লালমনিরহাট জেলার শহরবাসী শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট, র‌্যাংকিংয়ে টানা উন্নতি লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইস্কাফ সিরাপ জব্দ রূপগঞ্জে ভেজাল ঔষধ বিক্রয়ের প্রতিবাদে জনসচেতনতামূলক সভা  দুম্বার ভিন্নধর্মী খামার এখন সাদুল্লাপুরে পঞ্চগড়ের নদীগুলোতে ক্ষতিকর গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ শিকার: হুমকির মুখে দেশী মাছের প্রজনন, জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশ জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া প্রকাশ কুড়িগ্রামে শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পৌর মেয়রের উদ্যোগে এতিম কন্যার বিবাহ

পৌর মেয়রের উদ্যোগে এতিম কন্যার বিবাহ

ভিশন বাংলা ডেস্ক: বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ পৌর এলাকার সুলতানপুর গ্রামের এতিম মেয়ের বিবাহ শিবগঞ্জ পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিকের সহায়তায় সম্পর্ণ হয়েছে। জনবান্ধব মেয়রের এমন সহানুভূতিতা দেখে পৌরবাসি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, শুক্রবার বাদ জুমা শিবগঞ্জ পৌর এলাকার সুলতানপুর গ্রামের মা-বাবা হারা এতিম মেয়ে রাজিয়া সুলতানা(১৯) এর সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা আজাদুল ইসলাম(২২) এর বিবাহ সম্পর্ণ হয়েছে। এই বিবাহতে সার্বিক ভাবে সহায়তা করেছেন পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক।

রাজিয়া মা তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে ফেলে ২০১৪ সালে অন্যত্র চলে যায় এবং ২০১৬ সালে বাবা আব্দুর রাজ্জাক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। রাজিয়ার বাবার মৃত্যূর সময় মেয়র মানিক রাজিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় রাজিয়ার বিবাহের মাধ্যমে মেয়র মানিক তার ওয়াদা পালন করলেন।

ইতোপূর্বে রাজিয়ার ছোটভাই সিয়ামকে মেয়র মানিক ভর্তি করে দেন একটি আবাসিক হাফেজিয়া মাদ্রাসায় আর প্রতিবন্ধী ছেলে মোহসীন আলীর নামে ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন পাশাপাশি রাজিয়ার লেখাপড়ার সমস্ত খরচই বহন করেছেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মেয়রের এমন মহানুভবতায় আমরা খুশি হয়েছি। পাশাপাশি এ বিবাহে স্থানীয় বাসিন্দারাও কিছু সহযোগীতা করেছেন। এই বিয়ের আয়োজনে বর-কনে দু’জনই সন্তোষ প্রকাশ করেন।

কনে রাজিয়া সুলতানা বলেন, বাবা-মা যে নেই সেটা আমি বুঝতেই পারছি না। তারা থাকলেও হয়তো এতো ভালো আয়োজন করতে পারতো না। তিনি নতুন সংসারের জন্য সকলের দোয়া চেয়েছেন।

বর আজাদুল ইসলাম বলেন, কনে পাশের পাড়ার হওয়ায় তার সম্পর্কে আগে থেকেই সবই জানতাম। এমন একটি মেয়েকেই বিয়ের ইচ্ছা ছিলো যার কেউ নেই। এরই মাঝে মেয়র সাহেবের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব এলে আমার পরিবারও রাজি হয়। আমাদের বিয়েতে যে এতো আয়োজন হবে তা ভাবতেই পারিনি।

বিবাহের বিষয়ে পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক জানান, বিয়েতে সুলতানপুর চারপাড়ার সকল পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি পৌর এলাকার অনেককেই নিমন্ত্রণ করা হয়।

বিয়েতে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাজ্জাকুল ইসলাম রাজুসহ অনেকেই এসে নবদম্পতিকে আশির্বাদ করে গেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার নিজের একটি ছেলে ছাড়া কোন মেয়ে নেই। যেহেতু রাজিয়ার বাবা-মা কেউ নেই একারণে আমিই তার অভিবাবকত্ব করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমার স্ত্রীও তাকে মেয়ের মতোই মনে করে। একারণে আমরা বিয়েটিকে মোটামুটি উৎসবমুখর করার চেষ্টা করেছি। নব দম্পতির জন্য আমি সকলের কাছে দোয়া চাই। উল্লেখ্য বিবাহের কথা স্থির ওহয়ার পর মেয়র মানিক নিজ খরচে ছেলে আজাদুলের বাড়িতে বাথরুম ও দরজা জানালাসহ অনেক কাজ করে দেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com